সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: সম্প্রতি রাজধানীর ওয়ারী’র পীরসাহেব গলীর বাসিন্দা কাপ্তান বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী স্ত্রী বীনার (ছদ্মনাম) কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য পাওয়া যায়। বীনার ব্যবসায়ী স্বামীর ব্যক্তিগত এলিয়ন গাড়ীতে করে কথিত প্রেমিক প্রেমিকা মিলে ঘুরে বেড়াতো রাজধানীর নানা প্রান্তে। তখন ৮ টিকাটুলি কেএম দাস রোডে থাকাকালীন সময়ে। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী স্বামীর কাছে হাতেনাতে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পরলে তোপের মুখে ঐ এলাকা থেকে বাসা বদল করতে বাধ্য হয় শুভ। কিন্তু ব্যবসায়ী স্বামী এই প্রতারকের শিখর সন্ধানে বেড়িয়ে পরে আরো লোবহর্ষক ঘটনা।
প্রতারনা যার অর্থ উপার্জন ও অবৈধ সম্পর্ক গড়ার হাতিয়ার সুদর্শন প্রতারকতো বসে থাকতে পারে না। নিত্য নতুন কৌশল প্রতারনার জাল বিস্তার করে প্রতারিত করতে থাকে বিভিন্ন রমনীদের। স্ত্রী পরিত্যক্ত এক সন্তানের জনক হওয়াতে প্রতারনা করা খুবই সহজ রমনির সাথে। শুধু মাত্র লাইটের ব্যবসায় এই প্রভাব ঘাটানো সম্ভব নয় ফরিয়া/কমিশন দালাল হিসাবে এ কথা অনেকে জানে। তবে কোন খুটির জোড়ে এভাবে একাধিক সুন্দরী নারীদের সর্বস্ব লুটে নিয়েও কিভাবে ধরা ছেয়ার বাইরে থাকে তা আশেপাশের মানুষ বুঝতে পারে না। প্রতারকের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না প্রবাসীর স্ত্রীরা, কলেজ পরুয়া শিক্ষার্থী, গৃহবধু ও স্বামীর পরিত্যক্তা নিঃস্বন্তান নারীরাও। বিয়ে, ভালোবাসা, কটেজ এ বেড়ানো, নিত্য নতুন বাইকে ঘোড়ানো, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে মুখরোচক খাবার খাওয়ানো সহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দেহ ভোগ করে আন্তরিকতার মায়া জাল বিস্তার করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে কৌশলে কেটে পড়েন এই সুদর্শন যুবক। যার নাম সাইফুল আলম শুভ। পিতা মাতার এই বখাটে সন্তান, নিজের সন্তান থাকা সত্বেও একাধিক সন্তানের মাকে করেছে সর্বহারা। প্রতিনিয়ত তার প্রতারনার কৌশল পাল্টিয়ে ফাঁদে ফেলছে সুন্দরী বিত্তশালী রমনীদের। গত সংখ্যায় “সুন্দর চেহারাই যখন ফাঁদ” প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আরো অনেক অজানা চাঞ্চচল্য কর তথ্য ও ছবি আমাদের হাতে আসছে এবং অনেকেই এই ধরনের প্রতারক/প্রতারকের মুখোশ ইম্মোচন করাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে শুভেচ্ছা ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে যা তুলে ধরব আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সম্মানিত পাঠকের উদ্দেশ্যে।
এ বিষয়ে এক এন.জি.ও কর্মী বলেনÑ নারীদের ফাঁদে ফেলে সুযোগ নেওয়ার প্রবণতা বা এ ধরনের বিকৃতি দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। ইন্টারনেট, সামাজিক মাধ্যম ও স্মার্টফোনের কল্যাণে এসব যেন অনেক পুরুষের কাছে ডালভাত হয়ে গেছে। ইদানীং এর মাত্রা বেড়ে গেছে, একটি ঘটনা যেন আরেকটি ঘটনাকে উসকে দিচ্ছে। কথা হচ্ছে সভ্যতার কিছু রীতিনীতি ও মানদ- আছে, সমাজের মানুষকে তা মেনে চলতে হয়। তা না হলে সমাজে নৈরাজ্য দেখা দেয়। এই শিক্ষা লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হচ্ছে পরিবার, তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে মানুষ একধরনের বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। এই বন্ধন আলগা হয়ে গেলে অপকর্ম করতে মানুষের বাধে না।
সম্মানিত পাঠকদের কাছে যদি কোন এ ধরনের সুনিদৃষ্ট তথ্য থেকে থাকে তাহলে আমাদের কাছে পাঠালে তা আমরা জনস্বার্থে তুলে ধরব বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ হিসাবে।